হিফজ খানার শিক্ষক ও ছাত্রদের জন্য নসিহত।

হিফজ খানার শিক্ষক ও ছাত্রদের জন্য নসিহত

বাংলাদেশ হুফফাজুল কুরআনের চেয়ারম্যান
শাইখুল হুফফাজ ক্বারী আব্দুল হক্ব সাহেব দা.বা. 

উস্তাদদের জন্য ১৫ টি নসিহত:

১. ছাত্রের চেহারা, কান, মাথা ও স্পর্শকাতর কোন অঙ্গে বেত্রাঘাত করবেন না।                                                                                 ২. সবক ও সবকের পারা একজন একজন করে শুনবেন। সাতসবক ও আমূখতা প্রয়োজনে একাধিকজনের একত্রে শুনতে পারেন।
৩. সবকের পারা শোনানোর জন্য নতুন সবক বন্ধ রাখবেন না। প্রয়োজনে সর্বোচ্চ একদিন বন্ধ রাখতে পারেন।
৪. ছাত্রদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখবেন না। দেখতে সুন্দর এমন ছাত্রদের থেকে নজর হেফাজত করবেন এবং কোন কু-খেয়াল মনে আসবেন না।
৫. রাগান্বিত অবস্থায় শাস্তি দেবেন না। ছাত্রকে শাস্তির উপযুক্ত হতে দেবেন না। বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।
৬. ছাত্রের সাথে উত্তম ভাষায় কথা বলবেন। গালিগালাজ পর্যায়ের কোন শব্দ ব্যবহার করবেন না।
৭. ছাত্র দ্বারা কোন ধরনের শারীরিক খেদমত নিবেন না।
৮. বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার করবেন না।
৯. কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া শিক্ষকের মোবাইল থেকে কোন ছাত্রকে ফোন করার সুযোগ দিবেন না।
১০. ছাত্রের অভিভাবকের সাথে আচার ব্যবহার ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে হুশিয়ার থাকবেন। ব্যক্তিগত আদান প্রদান থেকে বিরত থাকবেন।
১১. সুন্নতের পাবন্দি করবেন। ক্লাসের উপযুক্ত পোশাক পরিধান করবেন। ছাত্রদের তরবিয়তের প্রতি বিশেষ নজরদারী করবেন।
১২. ঘুম, গোসল, খানা, নামাজের সময় ও আছরের পরের সময়ে ছাত্রদেরকে শিক্ষকের নেগরানির আওতায় রাখবেন।
১৩. প্রাতিষ্ঠানিক আইন-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন।
১৪. সব ধরনের লেনদেন পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
১৫. ছাত্রদের সকল পড়া শিক্ষকই শুনবেন। ছাত্র দিয়ে ছাত্রের পড়া শোনাবেন না।
______________°_______________

হিফজ খানার শিক্ষক ও ছাত্রদের জন্য নসিহত

ছাত্রদের উদ্দেশ্য ১৪ টি উপদেশ :

১. দৈনিক যতটুকু মুখস্থ করার ইচ্ছা প্রথমে ততটুকু কমপক্ষে আধা ঘণ্টা তেলাওয়াত করবে। এবং কাউকে তা দেখে পড়ে শোনাবে, যাকে নাযারা বলা হয়।
২. নাযেরার পর ঐ পৃষ্ঠা মাগরিবের পর ভালো ভাবে মুখস্থ করবে। মুখস্থ করার একটা নিয়ম আছে, ঐ নিয়মটি পৃষ্ঠার শেষে দেয়া আছে।
৩. ক্লাস ছুটির পর পিছনের পড়া শুরু করে দিবে, এমন ভাবে পড়বে যাতে প্রত্যেক পারা প্রতিদিন ২/১ বার পড়া হয়।
৪. সবক প্রতিদিন ফজরের পূর্বে শোনাবে, যদি প্রতিদিন তেলাওয়াত করা হয়, তাহলে প্রতিদিন আমুখতা শুনাতে আরাম পাবে, ইয়াদ থাকবে। পিছনের পড়া কাঁচা রেখে সবক দিবে না।
৫. বাজে, বেফায়দা, ফাজলামি মার্কা কথাবার্তা থেকে সর্বদা বেঁচে থাকবে, সর্বদা তেলাওয়াত করার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। আছরের পর সময়টা কাজে লাগাতে হবে। আছরের পর ৩/৪ পারা পড়বে।
৬. শবিনার দিন যে ভুল গুলো হবে কমপক্ষে ২০ বার জপতে হবে।
৭. প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ১ পারা দিয়ে ৪ রাকাত নফল নামাজ পড়বে।
৮. প্রতিদিন সবক কোন ভালো ছাত্রকে শুনানোর পর হুজুরকে শোনাবে।
৯. সবক শিখার নিয়ম——
ভালো কোন ছাত্রের কাছে বসে গল্পগুজব না করে ১টি আয়াত ৮ বার দেখে পড়বে যেমন- ذالك الكتاب لا ريب فيه এরপর ১বার না দেখে ১বার দেখে, ১০বার হলো এইভাবে আধা পৃষ্ঠা হওয়ার পর দেখবে পার কি না। যদি না পার তাহলে ঐ আধা পৃষ্ঠা ৬বার পড়বে। এইভাবে পুরা পৃষ্ঠা ইয়াদ করবে।
১০. এক আয়াত ইয়াদ না হওয়া পর্যন্ত অন্য আয়াতে যাবে না। যদি ইয়াদ না হওয়ার আগে অন্য আয়াতে যাও তাহলে ইয়াদ কাঁচা হবে। পরে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

আরো পোস্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Related Posts

No Responses

Add Comment

You cannot copy content of this page