কোরিয়ায় রি-এন্ট্রি প্রাপ্ত কমিটেড প্রার্থীদের করনীয় (প্রথম পর্ব)
ইপিএস সিস্টেমে কমিটেড কর্মী হিসেবে রিএন্ট্রি প্রাপ্তদের করণীয় বিষয় সমূহঃ
করনীয় গুলো দুটি ভাগে (কোরিয়া ত্যাগের পূর্বে করণীয় ও দেশে আসার পর করণীয় সমূহ) ভাগ করে আজ প্রথম পর্বে কোরিয়া ত্যাগের পূর্বে করণীয় সমূহ জানবো।
আমরা সাধারণত একটি ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে আছি সেটা হলো রি-এন্ট্রি মানে কমিটেড হিসেবে আসা। আসলে না- রি-এন্ট্রি (পুনরায় প্রবেশ) একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোরিয়াতে প্রথম মেয়াদ শেষ করে পরবর্তী মেয়াদে আবার প্রবেশ করা যায়।
রি এন্ট্রি মূলত দুই প্রকার:
১. স্পেশাল সিবিটি প্রার্থী হিসেবে রি এন্ট্রি (৬মাস পরে প্রবেশ)
২. কমিটেড কর্মী হিসেবে রি এন্ট্রি (৩মাস পরে প্রবেশ)
কমিটেড কর্মী হিসেবে রি এন্ট্রি কি?
কোরিয়ায় প্রথম মেয়াদে (৪বছর ১০মাসের মেয়াদ) কোম্পানি পরিবর্তন না করে থাকলে (যদিও বা কোম্পানি পরিবর্তন করে তা নিজের কারণে না হয়ে কোম্পানির কারণে হয়) মালিকের পুনঃনিয়োগ দেওয়াকে কমিটেড হিসেবে রিএন্ট্রি বলা হয়।
কোরিয়ায় রি-এন্ট্রি প্রাপ্ত কমিটেড প্রার্থীদের করনীয় (প্রথম পর্ব)
শর্ত সমূহঃ
- নিয়োগকর্তা চাইলে ও তার বিদেশী কর্মী নিয়োগে বাঁধা না থাকলে নিতে পারবেন।
- কোম্পানিতে ৫০ জন বা তার নিচে কর্মী থাকতে হবে।
- সর্বশেষ কোম্পানিতে নূন্যতম ১বছর কাজ করতে হবে।
- ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩মাস আগ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন তবে যেদিন আবেদন করবেন তার ১মাসের মধ্যে কোরিয়া ত্যাগ করতে হবে।
- কোরিয়া যেদিন ত্যাগ করবেন সেই দিন থেকে ৯০ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরই কেবল আবার পুনরায় প্রবেশ করতে পারবেন।
- কোরিয়া ত্যাগের পূর্বেই পুনরায় নিয়োগের জন্য শ্রমচুক্তি সম্পাদন করতে হবে। বয়সে কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
কোরিয়ায় রি-এন্ট্রি প্রাপ্ত কমিটেড প্রার্থীদের করনীয় (প্রথম পর্ব)
ধাপসমূহঃ
আগে থেকে কোম্পানির সাথে কাজে,কর্মে ও ব্যবহার দিয়ে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে যাতে করে কোম্পানির নিয়োগকর্তা আপনাকে পুনরায় নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।
যেহেতু প্রথম মেয়াদের ভিসা শেষ হওয়ার তিন মাস আগ পর্যন্ত আবেদন করা যায় তাই কোম্পানিকে আগে ভাগেই বলে রাখুন আপনি কবে যেতে চান দেশে।
কেননা তার উপর ভিত্তি করেই আপনার আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।
নিয়োগকর্তা আবেদন করলে জব সেন্টারের মাধ্যমে প্রাপ্ত শ্রমচুক্তি উভয়েই সাক্ষর করে আবার জব সেন্টারে জমা দিতে হবে।
প্রথম ধাপঃ
আপনার দেশে যাওয়ার টিকেট নিজেই কাটুন। টিকেটের কপি কোম্পানিকে জমা দিন সাথে এলিয়েন কার্ড, পাসপোর্ট জমা দিন যেগুলো দিয়ে কোম্পানি জব সেন্টারে 출국예정 사실 확인서 এর আবেদন করবেন।
আপনি নিজেও উপরোক্ত ডকুমেন্ট গুলো দিয়ে জব সেন্টারে গিয়ে 출국예정 사실 확인서 এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
দ্বিতীয় ধাপঃ
출국예정 사실 확인서 হাতে পাওয়ার পর সামসং বীমা কোম্পানিতে গিয়ে অথবা ফ্যাক্সের মাধ্যমে 출국만기보험(ডিপার্চার গ্যারান্টি বীমা/তেজিকম) ও 귀국비용보험 (রির্টান কষ্ট বীমা)’র ৫ লক্ষ উওনের জন্য আবেদন করতে হবে।
আবেদনের সময় ডকুমেন্ট হিসেবে 출국예정 사실 확인서, পাসপোর্ট, এলিয়েন কার্ড, ব্যাংক একাউন্ট ও বিমানের টিকেট দিতে হবে।
এই কাজ গুলো নিকটস্থ সামসং বীমার অফিসে গিয়ে/ ফ্যাক্সের মাধ্যমে কিংবা কোম্পানির মাধ্যমেও করাতে পারবেন।
আরেকটি বিষয় 출국만기보험 (ডিপার্চার গ্যারান্টি বীমা/তেজিকম) এর টাকা এয়ারপোর্ট থেকে নিবেন নাকি বাংলাদেশের একাউন্টে নিবেন তা উল্লেখ করে দিতে হবে।
বাংলাদেশে গ্রহণ করতে চাইলে বাংলাদেশের ব্যাংক একাউন্ট দিতে হবে।
তৃতীয় ধাপঃ
출국만기보험 (ডিপার্চার গ্যারান্টি বীমা/তেজিকম) এর টাকা এয়ারপোর্ট থেকে নিবেন নাকি বাংলাদেশের একাউন্টে নিবেন ।
সেটার জন্য আপনি যে ব্যাংকের মাধ্যমে নিতে চাচ্ছেন সেই ব্যাংকে গিয়ে আলাদাভাবে 거래외국환은행 신청서 (ফরেইন এক্সচেঞ্জ আবেদন ফর্ম) পূরণ করতে হবে এবং পূরণকৃত ফর্মের একটি কপি সামসং বীমা কোম্পানিতে জমা দিতে হবে সরাসরি/ফ্যাক্স কিংবা কোম্পানির মাধ্যমে।
এয়ারপোর্ট থেকে তেজিকম উত্তোলনঃ
লাগেজ বুকিং দিয়ে উরি/কেইবি হানা/সিনহান/ও অন্যান্য (যেটা আপনি উল্লেখ করেছেন) সেখানে গিয়ে পাসপোর্ট ও টিকেটের কপি প্রদর্শন করুন।
ডলার এক্সচেঞ্জে সম্পর্কিত ফর্মটি পূরণ করে তাদের নিকট উত্তোলন কনফার্মেশন (কত ডলার উল্লেখ থাকবে) কপিটি নিয়ে ইমিগ্রেশন ক্রস করে উল্লেখিত ব্যাংকে (কোন ব্যাংক কোন জায়গায় এবং কিভাবে যাবেন তা ফর্মে উল্লেখ থাকবে)
উত্তোলন কনফার্মেশন কপিটি প্রদর্শন করে তেজিকম বাবদ ডলার বুঝিয়ে নিন।
দেশের একাউন্টে নিতে চাইলে কোন সমস্যা না থাকলে কোরিয়া ত্যাগের ৫~১০ দিনের মধ্যেই পেয়ে যাবেন।
আরও পড়তে পারেন:
কোরিয়ায় রি-এন্ট্রি প্রাপ্ত কমিটেড প্রার্থীদের করনীয় (দ্বিতীয় পর্ব)
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার উপায়
কোরিয়ান ই-৭ ও F-২-৬ ভিসার সুবিধা অসুবিধা