আপনি কি দ্বীনের পথে চলতে গিয়ে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছেন

আপনি কি দ্বীনের পথে চলতে গিয়ে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছেন?

কোনো যুগেই দ্বীনের পথে চলা সহজ ছিল না। বিশেষ করে যাদের পরিবার দ্বীনদার নয় তাদের জন্য আরও শক্ত, আরও পরীক্ষার বিষয়।

যারা নতুন নতুন ইসলামের হুকুম মেনে চলার চেষ্টা করছেন বা করেছেন তাদেরকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় তাদের সংগ্রাম সম্পর্কে তাহলে আমার মনেহয় সবাই একবাক্য বলবে, তারা পরিবারের পক্ষ থেকেও বাধাগ্রস্থ হয়েছেন।

যেভাবে ভাল কাজে পরিবারের হেল্প করার কথা সেখানে পরিবারের পাহাড়ের মত দাঁড়িয়ে গিয়েছে!

আশাপাশের মানুষের কথা আর বলবো? হুজুর হয়ে গিয়েছো, তাবু হয়ে থাকো, বুজুর্গ হয়ে গিয়েছো, এত ইবাদত করার বয়স হয়নি, দাড়ি রাখার বয়স হয় নি ইত্যাদি হাজারো কথা।

আপনি কি দ্বীনের পথে চলতে গিয়ে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছেন?ভয়ের কিছু নাই

এইগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের উপর পরীক্ষা ছাড়া কিছু নয়। আল্লাহ তায়ালার প্রতি আমরা কতটুকু কমিটেড, কতটুকু সিরিয়াস সেই পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় যে যতটুকু দৃঢ়পদ থেকেছে তার সম্মান আল্লাহ তায়ালা তত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

আল্লাহর তায়ালার কাছে দাম নেই আমাদের সৌন্দর্য্যের, আমাদের বুদ্ধির, আমাদের সম্পদের। সেই ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে প্রিয় যার তাকওয়া বেশি। দুনিয়ার জীবনে সবই আছে কিন্তু আল্লাহ তায়ালাকে চিনে না তার মত দুর্ভাগা আর কেউ আছে?

আপনি আপনার চারপাশে তাকান, এমন দুর্ভাগা দেখতে পান? এই দুর্ভাগাদের কথায় কষ্ট পেয়ে কোনো লাভ আছে? লাভ নেই, হাসিমুখে ইগনোর করেন। শয়তান যেন আপনাকে বিভ্রান্ত করতে না পারে।

তাদেরকে দাওয়াহ দিবেন। তারাও যদি আল্লাহ তায়ালাকে চিনে ফেলে তাহলে দেখবেন তার মত সুহৃদ আর কাউকে পাবেন না। আর সদকায়ে জারিয়াহর সওয়াবতো পেতেই থাকবেন।

আপনার আমার দাওয়াতে যদি তারা হেদায়াত নাও পায় আপনি আপনার কর্তব্য আদায় করছেন। বাকি আল্লাহর হাতে। মনে রাখতে হবে, হেদায়াত সবার জন্য নয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুজিযার দ্বারাও অনেকে হেদায়াত পায় নি। আপনি আমিতো সে হিসেবে কিছুই না।

সবেশেষে দুইটি আয়াত দিয়ে শেষ করি। সুরা বাকারায় আল্লাহ তায়াল বলেন,
لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ۚ
(আল বাকারা – ২৮৬)

আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না.

এবং ” إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا

(আল ইনশিরাহ – ৬)
নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। ”

কাজেই সবর করেন। আল্লাহর কাছে কায়োমনোবাক্যে দুয়া করেন নিজের পরিস্থিতি জানিয়ে। শীগ্রিই আপনি এমন প্রশান্তি লাভ করবেন যা আপনার আগের দুঃখ কষ্ট ভুলিয়ে দিবে।

 

আরো পড়ুন:

Related Posts

Add Comment

You cannot copy content of this page