ইপিএস বাংলা গ্রীষ্মকালীন মিলন মেলা ২০১৯

ইপিএস বাংলা গ্রীষ্মকালীন মিলনমেলা-২০১৯: বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিক সাফল্যের পর এবছরও গত ২৮শে জুলাই দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত খিয়ংফো সীবিচজুমুনজিন সীবিচ ,“ইপিএস বাংলা গ্রীষ্মকালীন মিলনমেলা-২০১৯”এর আয়োজন করেছিল ইপিএস বাংলা কমিউনিটি ইন কোরিয়া।

“চলো না ঘুরে আসি অজানাতে
যেখানে সাগর এসে থেমে গেছে”

দক্ষিণ কোরিয়ার সমুদ্র সৈকত

কোরিয়াতে আসার পর থেকেই শুরু হয় কোরিয়া প্রবাসীদের  কর্মব্যস্ত জীবন।

কাজের চাপে মানসিক ও শারিরীকভাবে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পরে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা।

নিজেদের অজান্তেই মন অবসাদের সাগরে ডুব দিয়ে বসে।

তাই অবসাদ গ্রস্থ  মনে সতেজতা ফিরিয়ে আনতে অনেকেই ছুটির দিনে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বের হন কোরিয়ার নানা প্রান্তে।

কিন্তু একটু অপূর্নতা থেকেই যায় সেটা হল, সব বন্ধুদের একসাথে না পাওয়ার অপূর্ণতা।

ইপিএস বাংলা গ্রীষ্মকালীন মিলনমেলায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই অপূর্নতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে বন্ধুরা মিলে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার  জন্যই এই মিলনমেলার আয়োজন।

সতেজ মন নিয়ে আবার নিজেদের কর্মস্থলে যোগদান করবে লাল সবুজের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা।

Page Content Highlights

ইপিএস বাংলা গ্রীষ্মকালীন মিলন মেলা ২০১৯ যে সব বিষয় আমাদের নজর কেড়েছে:

 

রেজিস্ট্রেশন

কোরিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইপিএস বাংলা কমিউনিটি  প্রতিনিধিদের কাছে মোট ১৫০৫ জন  রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন । আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে রেজিস্ট্রেশন চালু ছিল ১৫ই জুলাই পর্যন্ত।

২০১৭ সালে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন ৪৫০ জন, ২০১৮ সালে করেছিলেন ৭৫০ জন,আর এবার ২০১৯ সালে করেছেন ১৫০৫ জন।যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুনেরও বেশি।

উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রায় ১৭,০০০ (সতের হাজার) বাংলাদেশী দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত আছেন ।

ইপিএস বাংলা গ্রীষ্মকালীন মিলনমেলা-২০১৯ উপলক্ষ্যে ইন্সপেকশন টিম গঠন:

ইপিএস বাংলা গ্রীষ্মকালীন মিলনমেলা-২০১৯ উপলক্ষ্যে ইপিএস বাংলা কমিউনিটির একটি ইন্সপেকশন টিম গত রবিবার জুমুনজিন বীচ পরিদর্শন করেছিল।

প্রস্তুতির ভিতরে স্টেইজ,সাউন্ড সিস্টেম,বাস পার্কিং,খেলার মাঠ,ক্যাম্পিং স্থান,বাচ্চাদের ওয়াটার পুল,রান্না বান্না ও খাবারের স্থান সংক্রান্ত সকল খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নির্ধারণ করা হয়েছিল ।

প্রোগ্রামের প্রস্তুতির জন্য পৌর মেয়র, বীচ পরিচালনা কমিটির প্রেসিডেন্ট ইন্সপেকশন টিমকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছিলেন।

এই মহামিলনমেলাকে সফলক রার জন্য ইপিএস বাংলা কমিউনিটি  প্রতিনিধিরা ছিলেন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ইপিএস বাংলা গ্রীষ্মকালীন মিলন মেলা ২০১৯

ইন্সপেকশন টিম

বাসের ব্যবস্থা

এ বছর কেউ যেন মিলনমেলা মিস না করে তাই খিয়ংগি প্রদেশের পাশাপাশি

নিচের এলাকাগুলোতেও বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

  • দেগু
  • দেজন
  • বুসান
  • কিমহে
  • ছাংউওন
  • কিমজে
  • গুনসান
  • দাংজিন
  • সসান
  • ছুংজু

ইপিএস বাংলা গ্রীষ্মকালীন মিলনমেলা-২০১৯

প্রাপ্ত বয়স্কদের ৫০০০০ উওন ও বাচ্চাদের রেজিস্ট্রেশন ফি ছিল ৩০০০০ উওন

৫০০০০ উওন এর মধ্য যে সব services ছিল:

১. প্রাপ্ত বয়স্কদের রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০০০০ উওন।
২. ৫-১২ বছরের বাচ্চাদের রেজিস্ট্রেশন ফি ৩০০০০ উওন।
৩. ৫ বছরের নিচের বাচ্চাদের রেজিস্ট্রেশন ফি ফ্রি।
৪. সবার জন্য থাকছে ১ টি করে টিশার্ট।
৫. দুপুরের স্পেশাল খাবারের সাথে সকাল ও বিকালের নাস্তা।
৬. সীবিচের সাথেই স্টেজে থাকছে সারাদিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।
৭. সীবিচে জলকেলির পর গোসলের জন্য কুপন।
৮. থাকছে র‍্যাফেল ড্র এর  সাথে বিভিন্ন ধরণের ইভেন্ট।
৯. কাপলদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় ইভেন্ট।
১০. গাড়িতে যাওয়া আসার সময় গান কবিতা কৌতুক উপস্থিত বুদ্ধি প্রশ্ন উত্তর পর্ব, সেরা বিনোদনদাতা সহ বিভিন্ন ইভেন্ট।
১১. গত বছরের মতো অনুষ্ঠানে সব থেকে সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে ইপিএস বাংলা গ্রুপে পোস্ট করে ফটো কনটেস্ট প্রতিযোগিতা।
১৩. সকল বিজয়ী প্রতিযোগীদের আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান।

সারা বছরের ক্লান্তি অবসাদ দূর করে মনের স্মৃতির পাতায় স্মরণীয় করে রাখার মত একটি দিন ছিল এটি।

বন্ধু বান্ধব সবাই মিলে একটা দিন আনন্দে উল্লাসে হারিয়ে গিয়েছিল এক অজানা ঠিকানায় ।

ইপিএস বাংলা গ্রীষ্মকালীন মিলন মেলার বাসের ভিতরের ইভেন্ট এর পুরষ্কার বিতরণ।

ইভেন্ট এর পুরষ্কার বিতরণ

উৎসবের আমেজ

আগে থেকেই উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছিল কোরিয়া প্রবাসীদের মধ্যে। ইপিএস বাংলা কমিউনিটিও উৎসবের আমেজ বাড়াতে আগে থেকেই প্রতিযোগিতামূলক ইভেন্ট চালু করেছিল।

সমগ্র কোরিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সকল বাংলাদেশীদের একত্রিত করার প্রয়াসে ইপিএস বাংলা কমিউনিটির এই মহামিলনমেলা।

যা অনেকটা সফল হয়েছে বলা যায়।

প্রধান অতিথি

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর মাসুদ রানা চৌধুরী ।

এ ছাড়াও সবাই স্বতস্ফূর্ত ভাবে যোগ দেয়ায়,মুগ্ধ হয়েছেন ইপিএস কমিউনিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান খান আসাদ ও কমিউনিটির অন্যান্য প্রতিনিধিরা ।

শুভেচ্ছা বার্তা

ইপিএস বাংলা গ্রীষ্মকালীন মিলনমেলার সফলতা কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন এইচ আরডি কোরিয়া পরিচালিত ইনছন ফরেইন ওয়ার্কার্স সাপোর্ট সেন্টার প্রধান জনাব কিম জে বপ

এবার স্পন্সর হিসেবে ছিল  HANPASS REMITTANCE কোম্পানী

ইপিএস বাংলা কমিউনিটির গ্রীষ্মকালীন মিলন মেলায় প্রথম বারের মত স্পন্সর হিসেবে ছিল HANPASS REMITTANCE কোম্পানী।
হানপাস রেমিট্যান্স কোম্পানী রেমিট্যান্স সংক্রান্ত সব সেবা প্রদান করে গ্রীষ্মকালীন মিলন মেলায়।

আরো  পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল  কেবিজোনসুমাইয়া টেক

উল্লেখ্য এর আগে অফিসিয়াল স্পন্সর ছিল জি এম ই রেমিট্যান্স কোম্পানী ।
গত জুলাই মাসে GME REMITTANCE সাথে আগে করা সকল চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।

ছবিঃ ইপিএস বাংলা গ্রীষ্মকালীন মিলনমেলার-২০১৭

ছবিঃ ইপিএস বাংলা গ্রীষ্মকালীন মিলনমেলার-২০১৭

ইপিএস বাংলা কমিউনিটির ডাকে সাড়া দিয়ে ,বিভিন্ন এলাকার টাইম শিডিউল অনুযায়ী ।

১৫০৫ জন রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে নিয়ে কোরিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩৪টি বাস খিয়ংফো সীবিচজুমুনজিন সীবিচ এ,“ইপিএস বাংলা গ্রীষ্মকালীন মিলনমেলা-২০১৯”এ স্বতস্ফূর্ত ভাবে যোগ দেয়।

 

 

একই লাইনে দাঁড়িয়ে  জাতীয় সংগীত গেয়ে শুরু হয়েছিল এবারে ইপিএস বাংলা গ্রীষ্মকালীন মিলন মেলা ২০১৯

ইপিএস বাংলা গ্রীষ্মকালীন মিলন মেলা ২০১৯

লাইনে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

এবারের গ্রীষ্মকালীন মিলন মেলাতে আনন্দ আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিতে, জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত খিয়ংফো সীবিচ ও জুমুনজিন সীবিচেই আয়োজন করা হয়েছিল এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গানে গানে মাতাতে বাংলাদেশ থেকে এসেছিল ক্লোজ আপ ওয়ানের সাব্বির জামান ও সারেগামার অবন্তী সিঁথি ।

ইপিএস বাংলা গ্রীষ্মকালীন মিলন মেলা ২০১৯

সাব্বির জামান ও অবন্তী সিঁথি

এছাড়াও ইপিএস বাংলা গ্রীষ্মকালীন মিলনমেলা-২০১৯ অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে ছিল কোরিয়ান শিল্পী কিম মিনজি ও তার দল, যারা বাংলা গান গায়।

কোরিয়া প্রবাসীদের প্রতিভা তুলে ধরার জন্যে  কৌতুক,কবিতা ও গানে অংশগ্রহনের সুযোগ দিয়ে ইভেন্ট চালু করা হয়েছিল ।

২৮শে জুলাই সারাদিন, জুমুনজিন সমুদ্র সৈকতের আকাশ বাতাস যেন লাল সবুজের রংয়ে রঙিন হয়েছিল।

কোরিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতের পাড়ে এক টুকরো বাংলাদেশ তৈরির মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করল কোরিয়া প্রবাসীরা ।

বারবার ফিরে আসুক,

কোরিয়া প্রবাসীদের প্রাণের মেলা
ইপিএস বাংলা গ্রীষ্মকালীন মিলন মেলা”

ভালো থাকুক সকল রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। এটাই আমাদের চাওয়া ।

আরো পড়ুন:

 

Related Posts

No Responses

Add Comment

You cannot copy content of this page