EPS এ পাশ করার পর করনীয়

EPS এ পাশ করার পর করনীয়:
সকল ছাত্রদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সবাই যার যার জেলার সিভিল সার্জন অফিস থেকে মেডিকেল করে  নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ঢাকা চলে আসবেন।

মেডিকেল করতে প্রথমে সিভিল সার্জন অফিসে যাবেন। যাওয়ার সময় অবশ্যই পাসপোর্ট এর কপি, ৪ কপি ছবি সাথে নিয়ে যাবেন।

সেখান থেকে আপনাকে টেস্ট করার জন্য মেডিকেল বা হাসপাতাল এ পাঠাবে।

হাসপাতালে গিয়ে রক্ত ও ইউরিন দিয়ে দুপুরের মধ্যে রিপোর্ট নিয়ে আবার সিভিল সার্জন অফিসে যাবেন।

সেখান থেকে আপনাদের কে লিখিত বা কম্পিউটারে টাইপ করে মেডিকেল ফিটের সার্টিফিকেট দিয়ে দেবে।

সাধারণত একদিনেই মেডিকেল রিপোর্ট দিয়ে দেয়।

বেশি চাপ থাকলে হয়তো ২ দিন সময় নিবে।

মেডিকেল ফর্ম লিঙ্ক

মেডিকেল করতে যাওয়ার সময়, নিচের ফাইলের ৬ ও ৭ নং পেইজ প্রিন্ট করে নিয়ে যাবেন।

ঢাকা আসার সময় মেডিকেলের ফিট কাগজ, পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন।

বোয়েসেলে ইপিএস পরিক্ষা চলছে

 

একটি ব্যাংক একাউন্ট লাগবে। যে কোনো ব্যাংক হলেই হবে। তবে ব্যাংক টি অবশ্যই অনলাইন ভিত্তিক হতে হবে।

একাউন্ট এর ফুল নাম্বার নিয়ে আসবেন। সুইফট কোড নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা।

এন আই ডি বা জন্ম নিবন্ধন এর কপি নিয়ে আসবেন।

পাসপোর্ট সাইজের ছবি সাথে রাখবেন ৪ কপি।
জব এপ্লিকেশন ফরম গ্লোবাল থেকে করে দেবে।

পরে রোস্টার ভুক্ত হওয়ার ভিসা পর ইস্যু হবে যদি কপালে থাকে।

EPS এ পাশ করার পর করনীয়

ইন্টারনেট ব্যাংকিং একাউন্টঃ

এটা সাধারণত কেউ করে না তবে আপনি যদি করে আসেন এইটা যে আপনাকে কতবড় উপকার দেবে তা একমাত্র কোরিয়াতে আসার পরই বুঝতে পারবেন ।

ইন্টারনেট ব্যাংকিং হলো যে কোন দেশে বসে আপনি আপনার বাংলাদেশের অ্যাকাউন্ট কে অপারেট করতে পারবেন ।

বাংলাদেশে আমার জানামতে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এবং এশিয়া ব্যাংক লিমিটেড এই দুইটি ব্যাংকসহ এখন প্রায় সব ব্যাংকে এই ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা গুলো দেওয়া হয় ।

তো আপনি যা করতে পারেন ভিসা ইস্যুর পরের দিন যদি ব্যাংকিং-ডে হয় আপনি আপনার কাছাকাছি যেকোনো ইসলামী ব্যাংক অথবা এশিয়া ব্যাংকের গিয়ে একটি সেভিং একাউন্ট করতে পারেন এবং সাথে সাথেই ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর জন্য আবেদন করতে পারেন ।

এক্ষেত্রে আপনার যা লাগবে আপনার নিজস্ব একটি মেইল নাম্বার ।

(এই মেইল নাম্বার অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুতরাং ভালোভাবে সিকিউরিটি দেওয়া আছে এবং অনেকদিন ধরে চালাচ্ছেন এমন মেইল নাম্বার)।

কোরিয়ান ও জাপানের বিভিন্ন আপডেট জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন।
ক্লিক করুন এখানে

দিবেন আর বর্তমানে চলতি আছে এমন একটি মোবাইল ফোন নাম্বার সেক্ষেত্রে ব্যাংকের একাউন্টে নমিনি যদি আপনার মা বা আপনার স্ত্রী হয় তার নাম্বারটি দিতে পারেন এবং আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে পাসওয়ার্ডটি মনে রাখবেন ভুলে গেলে কিছুটা বিপদের সম্মুখীন হতে হবে ।

আশা করি সাধারণত সেভিং একাউন্ট খোলার নিয়ম সবাই জানেন আর ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর যে বিষয়টা ইসলামী ব্যাংক এবং এশিয়া ব্যাংকের প্রত্যেকটা শাখাতেই নির্দিষ্ট অভিজ্ঞ ব্যক্তি রয়েছে যারা আপনাকে এই ইন্টারনেট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে সাহায্য করবে ।

ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে অবশ্যই আপনাকে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে প্রতি তিন মাসে একবার অন্তত লগইন করতে হবে ।

T-PIN বা (Transaction PIN):

সবচাইতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের পাসওয়ার্ড ছাড়াও আরেকটি PIN আছে যাকে বলে T-PIN(Transaction PIN) …. এই T-PIN শুধুমাত্র আপনি আপনার নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে অন্যের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর সময় প্রয়োজন হবে এবং এটি খুব সেনসিটিভ তাই ব্যাংক আপনাকে ছাড়া এই T-PIN কাউকে দেবে না l ব্যাংকের লোকরাই আপনাকে টা বুঝিয়ে দেবে ।

কিন্তু সমস্যা হল আপনি ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর আবেদন করার ১০ কার্যদিবস পর এই এই PIN পাবেন ।

সুতরাং ভিসা ইস্যুর পরে দুই বা তিন দিন হাতে পাবেন ।

এর পরেই ট্রেনিং ডেট পড়ে যাবে তাই ভিসা ইস্যুর পরের দিনে চেষ্টা করুন ইন্টারনেট ব্যাংকিং করে ফেলার ।

তাহলে কোরিয়া আসার আগে আপনি আপনার T-PIN নিয়ে আসতে পারবেন ।

এবার আসি কেন এই ইন্টারনেট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খুলবেন, এটার মানে হচ্ছে এই অ্যাকাউন্টটি আপনার নামে ।

আপনি কোরিয়া থেকে খুব সহজে আপনার নিজের একাউন্টে আপনার সম্পূর্ণ টাকা পাঠাতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট সফটওয়্যার দ্বারা আপনি দেখতে পারবেন ।

আপনার একাউন্টে কত টাকা আছে এবং সব রকম ট্রানজেকশন ইত্যাদি প্রয়োজনবোধে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে আপনি অন্যের অ্যাকাউন্টে নিজেই টাকা টান্সফার করতে পারছেন ।

অর্থাৎ আপনার টাকা আপনার নামে আছে । কেউ অযথা খরচ করতে পারবে না ।

তো বুঝতেই পারছেন এটা কত বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ত যারা এটা করে আসবেন অবশ্যই অনেক উপকার পাবেন বাকিটা আপনাদের ইচ্ছা

EPS এ পাশ করার পর করনীয় আরোও কিছু বিষয় আছে

সেগুলো নিজ দায়িত্বে খোজ-খবর নিয়ে জানতে হবে।

 

আরও পড়তে পারেন:

কোরিয়ান ভিসা ইস্যু হওয়ার পর করনীয়

কোরিয়ান বর্ণমালার পরিচয়: প্রথম পর্ব

ইপিএস কর্মীগণ দেশে ফিরে কোরিয়ান কোম্পানিতেই চাকরি করতে পারবেন

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার উপায়

পর্নোগ্রাফির মরণকামড় থেকে মুক্তির উপায়

 

Related Posts

No Responses

Add Comment

You cannot copy content of this page