বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (পর্ব-০১)
লেখকঃ আল-আমিন রাসেল
(বর্ণালী সাইবার একাডেমি)
এটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে একটি অধিদপ্তর। এর মূল কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের নাগরিকদের বিদেশ যাতায়াতে পাসপোর্ট প্রদান, নবায়ন, নিয়ন্ত্রণ এবং বিদেশিদের ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করে থাকে। সংস্থাটির সদর দপ্তর ঢাকা আগারগাঁও অবস্থিত।
প্রধান কার্যালয় ছাড়াও বিভাগীয় শহরে এবং প্রতিটি জেলা শহরে এদের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস রয়েছে। এছাড়াও ভিসা সেল এবং ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট রয়েছে।
অতীতে এই অধিদপ্তর থেকে হাতে লেখা পাসপোর্ট ব্যবহৃত হলেও ২০১০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অথরিটি এর গাইডলাইন মেনে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি এবং মেশিন রিডেবল ভিসা প্রদান শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে অতীতে বিদেশীদের পাসপোর্টে সিল সম্বলিত হাতে লেখা ভিসা প্রদান করা হতো কিন্তু বর্তমানে মেশিন রিডেবল ভিসা প্রদান করা হয়। এটি তুলনামূলকভাবে অন্য দেশের ভিসা থেকে অপেক্ষাকৃত অনেক সুন্দর।
বর্তমানে ইলেকট্রনিক বা ই-পাসপোর্ট প্রদানের জন্য প্রকল্প চলমান রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়াতে সর্বপ্রথম ই-পাসপোর্ট ব্যবহার শুরু করেছে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল।
অন্যদিকে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট এবং বাংলাদেশী ভিসা প্রদান এবং নবায়ন করে থাকে।
বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (পর্ব-০১)
পাসপোর্ট দেখতে কেমন হবে তা নির্ধারণ করে দেয় ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অরগানাইজেশন (আইসিএও)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারকে তাদের পাসপোর্টের রং এবং নকশা বেছে নেওয়ার সময় এর পক্ষে যথাযথ কারণ দর্শাতে হয়.
বাংলাদেশে ৩ রকমের পাসপোর্ট প্রদান করা হয়
- আন্তর্জাতিক সাধারণ পাসপোর্ট (সবুজ মলাট)
- সরকারী পাসপোর্ট (নীল মলাট)
- কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল মলাট)
লাল, সবুজ, নীল ও কালো। এই চারটি রঙের বিভিন্ন শেড দিয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর পাসপোর্টের রং কিছুটা লালচে খয়েরি। অন্যদিকে, কিছু ক্যারিবীয় দেশের পাসপোর্টের রং নীল।
এর কারণ হতে পারে ভৌগোলিক বা রাজনৈতিক।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী পদবি হচ্ছে মহাপরিচালক। বর্তমানে এই পদে অধিষ্ট রয়েছেন মেজর জেনারেল পদে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
এখানে কর্মকর্তা হিসাবে সহকারি পরিচালক হিসাবে প্রথম শ্রেণীর নন ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
সংস্থাটি মূলত বাংলাদেশ পাসপোর্ট আদেশ”১৯৭৩, বাংলাদেশ পাসপোট বিধিমালা ১৯৭৪ এবং ভিসা নীতিমালা অনুসরণ করে থাকে।
তবে বর্তমান সময়ে পাসপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে অনলাইনে প্রদানকৃত তথ্য গ্রহণ করে থাকে।
তবে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যম এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে নাগরিকদের হয়রানির অভিযোগ করে থাকে।
আরো পড়ুন: