Site icon modernitbd.com

কোরিয়ান লটারীতে নাম আসার পর করণীয়

কোরিয়ান লটারীতে নাম আসার পর করণীয়

কোরিয়ান লটারীতে নাম আসার পর করণীয় ।
সামনে আপনাদের কোরিয়ান ভাষার উপরে পরীক্ষা হবে।

সকলের জন্য শুভকামনা রইল। তবে অনুরোধ থাকবে, সামনে যে কয়দিন সময় থাকে প্রচুর পড়াশোনা করবেন।
সবকিছু হবে কোরিয়ান স্টাইলে। ( পাল্লা পাল্লি – তাড়াতাড়ি)

কাগজপত্র খুব সাবধানতার সাথে পূরণ করবেন।

সবকিছুর ফটোকপি জমা রাখবেন, পূরণকৃত কাগজপত্র অন্য কারো মাধ্যমে চেক করে নিবেন। আগেই বলেছি সবকিছু করিয়ান স্টাইল হবে।

বেশি উত্তেজিত বা কোরিয়া যাচ্ছি এমনটি প্রচার না করাই ভালো হবে। বাস্তবতায়, বিগত বছর গুলিতে কতজন কোরিয়া এসেছে সেই পরিসংখ্যানটা নিয়ে দেখবেন। প্রতিটি ধাপে ধাপে রয়েছে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ।

শিক্ষক বা কোচিং এর থেকে বড় গুরুত্বপূর্ণ আপনার নিজের পড়াশোনা। যেখানে আপনি ভালো বুঝবেন, সেখানে আপনার জন্য মঙ্গল হবে।

কঠোর পরিশ্রম ও পড়াশোনার মাধ্যমে আপনাকে সফলতা লাভ করতে হবে। প্রচুর প্রতিযোগিতা হবে। তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করলে অবশ্যই সফল হতে পারবেন।

আপনি যদি প্রচুর সিরিয়াস না থাকেন তবে আপনাকে দিয়ে হবে না। সুতরাং সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যান অবশ্যই সফল হবেন, ইনশাআল্লাহ!

 

চুড়ান্ত রেজিষ্ট্রেশনের সুযোগ

(০১-৮০০০) এস, এস, সি/সাধারণ মেরিট লিস্ট
(৮০০১-১২০০০) ভোকেশনাল/ডিপ্লোমা মেরিট লিস্ট
(১২০০১-১৬০০০) এস, এস, সি/সাধারণ ওয়েটিং লিস্ট
(১৬০০১-১৮০০) ভোকেশনাল/ডিপ্লোমা ওয়েটিং লিস্ট

তবে (০১-১২০০০) সিরিয়ালে যারা আছেন তারা অবশ্যই চুড়ান্ত রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন(যদি পাসপোর্ট এবং সার্টিফিকেটের তথ্যাদি মিল থাকে)।

আর (১২০০১-১৮০০০) এর মধ্যে যারা আছেন তারা অপেক্ষমাণ হলেও হতাশ হবার কিছু নেই।

কেননা পাসপোর্ট এবং সার্টিফিকেটের তথ্য মিল না থাকার কারনে অনেকেই মেরিট লিস্ট থেকে বাদ পড়ে যাবে, এবং অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে অনেকেই চুড়ান্ত রেজিষ্ট্রেশনের সুযোগ পাবে।

কালার ব্লাইন্ডনেস

বাকি প্রসিডিউর আর বিনিয়োগে যাওয়ার আগে দয়া করে কালার ব্লাইন্ড টেস্ট এ নিজেকে পরীক্ষা করে নিন।

কালার ব্লাইন্ডনেস সমস্যা থাকলে আপনি যত ভালো ভাষা পারেন না কেন তাতে কোন লাভ হবেনা। সিবিটিতে ২০০ এর মধ্যে ২০০ পেলেও আপনি বাদ পড়ে যাবেন।

আপনি কালার ব্লাইন্ড কিনা এক্ষুণি পরিক্ষা করুন Youtube এ colour blind লিখে সার্চ করে

না হলে ১ বছর সময় নষ্ট করে প্রায় ৫০ হাজার থেকে ১লক্ষ টাকার মত খরচ করে হতাশ হতে হবে।

 

 

চুড়ান্ত রেজিষ্ট্রেশন এর তারিখ বোয়েসেল থেকে জানিয়ে দেয়া হবে

কোরিয়ান লটারীতে নাম আসার পর করণীয় ।

যাদের লটারি ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না তারা নিজ নিজ কাজে মনোযোগ দিন। পরবর্তী সময়ের অপেক্ষায় থাকুন।
বিজয়ী প্রার্থীদের করণীয়ঃ

১। লটারি পাওয়ার বিষয়টি যতটুকু সম্ভব গোপন রাখবেন। পরিবারের যাদের জানাবেন তাদেরকে বলে দিবেন গোপনীয়তা বজায় রাখতে। যত বেশি মানুষের কাছে প্রকাশ করবেন তত বেশি যন্ত্রণায় ভুগতে হবে।

২। আপনি যে পেশায় জড়িত থাকেন কোরিয়ার গমণের আশায় কিছুতেই সেই পেশা ছেড়ে দিবেন না।

৩। আপনার যদি কোরিয়ান ভাষা জানা না থাকে তাহলে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। যতটুকু সময় পাবেন ততটুকু সময়ের (আপনার বর্তমান পেশায় নিযুক্ত থেকে) সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সক্ষম হলে ইন শা আল্লাহ পাশ করবেন। যদি কোরিয়ান ভাষায় দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে চর্চা অব্যাহত রাখবেন।

৪। চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে এবং বিগত সময়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর পাশের কথা শুনে কোথায়ও ভর্তি হয়ে যাবেননা। বিগত বছরের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে ভর্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিন।

‍মনে রাখবেন কোরিয়া গমন করতে হলে আপনাকে আরো অন্তত পাঁচটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। তাই বর্তমান পেশায় নিযুক্ত থেকে এবং পরিচিত মানুষের কাছে গোপনীয়তা বজায় রেখে চেষ্টা করেন। ইন শা আল্লাহ সফল হবেন।

কোচিং সেন্টার আপনাকে শুধু গাইড করতে পারবে,হেল্প করতে পারবে কিন্তু লক্ষ্যে পৌছতে হলে আপনাকেই চেষ্টা করতে হবে সর্বোচ্চ পরিশ্রমের মাধ্যমে।

 

আরও পড়তে পারেন:

কোরিয়ান কথোপকথন প্রথম পর্ব

কোরিয়ান বর্ণমালার পরিচয়: প্রথম পর্ব

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার উপায়

কোরিয়ান বর্ণমালা দ্বিতীয় পর্ব

কোরিয়ার লটারির রেজাল্ট ২০২০

 

Exit mobile version