Site icon modernitbd.com

মায়াজমের (Miasm) পরিচয়ঃপর্ব এক

মায়াজমের (Miasm) পরিচয়ঃপর্ব এক

মায়াজমের (Miasm) পরিচয়ঃপর্ব এক ডাঃ রাজীয়া সুলতানা হাফসা

মায়াজম কি? মায়াজম কত প্রকার ও কি কি?

♦মায়াজম (Miasm): মায়াজম শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো ‘এমন কিছু যা শরীর কে দূষিত করে’। মায়াজম বা মায়াজমেটিক অবস্হা মহাত্মা হ্যানিম্যানের আবিষ্কৃত নতুন কোন শব্দ নয়, তৎকালীন প্রচলিত একটা শব্দ, যার অর্থের সাথে মিল রেখে তিনি ব্যাপকভাবে ব্যাবহার ও প্রচলন করেন।

বৈশিষ্ট্য : মায়াজম হচ্ছে এমন কিছু যা একবার মানবদেহে প্রবেশ করার পর সুচিকিৎসিত না হলে এমন অবস্থা সৃষ্টি করে, যা সারাজীবন চলতে থাকে এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে সুপ্ত অবস্থায় থাকা।

অনুকূল পরিবেশে এই সুপ্ত অবস্থা অসুস্থতা রূপে প্রকাশ পায়।

মায়াজমকে সকল রোগের মূল কারণ (Fundamental cause) বলা হলেও হ্যানিম্যান কোথাও মায়াজমের সঠিক সংজ্ঞা কোথাও দেন নি।

তাই মায়াজম নিয়ে এত মতবিরোধ।

মায়াজমের (Miasm) পরিচয়ঃপর্ব এক

মায়জম কোন জীবাণু নয়: বর্তমানে অনেকে মায়াজম অর্থ জীবাণু মনে করেন। কিন্তু এমন অবনক রোগ আছে যা জীবাণু দ্বারা সৃষ্টি হয়না।

যেমন – মৃগী, উচ্চ রক্ত চাপ, মানসিক রোগ ডায়াবেটিস ইত্যাদি।

এইসব রোগের মায়াজম ঘটিত কারণ আমরা জানি কিন্তু জীবাণু কি তা আমরা জানি না। তাহলে মায়াজম আর জীবাণু এক হবে কিভাবে? তাছাড়া দীর্ঘদিন বিসদৃশ ঔষধ সেবনের ফলে যে কৃত্রিম রোগ সৃষ্টি হয় তার কারণ – ড্রাগ মায়াজম।

এখন, ঔষধের মধ্যে নিশ্চই জীবাণু নেই।

তাহলে জীবাণু আর মায়াজম এক হবে কিভাবে?

মায়াজম ঘটিত অবস্থার লক্ষণ অনুযায়ী অনেক ঔষধ আছে।

কিন্তু মায়াজম অর্থ জীবাণু হলে ঔষধ নির্বাচন করা যাবে না। হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কোনো রোগের জীবাণু টেস্ট টিউবে ধ্বংস করতে পারে না।

তাহলে মায়াজম অর্থ জীবাণু ভেবে রোগী চিকিৎসা করলে সফল হওয়া যাবে না।

এখন প্রশ্ন হলো মায়াজম যদি জীবানু না হয় তবে মায়াজম আসলে কি? : মায়াজম হচ্ছে এমন কিছু যা একবার মানবদেহে প্রবেশ করার পর সুচিকিৎসিত না হলে এমন অবস্থা সৃষ্টি করে, যা সারাজীবন চলতে থাকে এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে সুপ্ত অবস্থায় থাকা।

অনুকূল পরিবেশে এই সুপ্ত অবস্থা অসুস্থতা রূপে প্রকাশ পায়।

সুতরাং মায়াজম হচ্ছে এমন কিছু যা দেখা যায় না কিন্তু তা কোন বস্তুর মধ্যে মিশে থাকে বা কোন বস্তুর মাধ্যমে বাহিত হয়।

একে দেখা যায় না, প্রমাণ করা যায় না কিন্তু অস্বীকার করা ও যায়না।

ডাঃ কেন্ট এর এ ধরনের জিনিষের নাম দিয়েছেন Simple substance. যে simple substance মায়াজমের সব শর্ত পূরণ করে তা ই মায়াজম।

এই মায়াজম জীবাণুর মধ্যে, বাতাসের জলকণার মধ্যে, শরীরের রস বা স্রাবের মধ্যে, ক্ষতে, ঔষধের মধ্যে বা অন্য যেকোনো কিছুর মধ্যে থাকতে পারে।

কিন্তু জীবাণু মানেই মায়াজম নয়, স্রাব মানেই মায়াজম নয়, বাতাসের জলকণা মানেই মায়াজম নয় বা ঔষধ মানেই মায়াজম নয়।

মায়াজমের (Miasm) পরিচয়ঃপর্ব এক

♦প্রকারভেদ : মায়াজম প্রধানত  তিন প্রকার।যথাঃ

(১)সোরিক, (Psoric)

(২)সিফিলিটিক,(Syphilitic)

(৩)সাইকোটিক (Sycosis)

এছাড়াও তরুণ রোগের কারণ হিসেবে ফিক্সড মায়াজম, ড্রাগ মায়াজম, ভ্যাক্সিন মায়াজম ইত্যাদি মায়াজমের বর্ণনা ও পাওয়া যায়।

 

আরো পড়ুন:

পর্নোগ্রাফির মরণকামড় থেকে মুক্তির উপায়

হস্তমৈথুনের চিকিৎসায় প্রধান ঔষধ

হোমিও সদৃশ্য ১২টি বায়োকেমিক ঔষধের সংক্ষিপ্ত পরিচয়

All Homeopathic Medical College Address & College Code

Exit mobile version